সিরাজদিখান প্রতিনিধিঃ
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার রাজদিয়া জামে মসজিদের কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে মসজিদের জমি দাতা ও মসজিদের মোতায়ালীর দায়িত্বে থাকা আবুল কাশেম চৌধুরী (৬৬) নামে এক ব্যক্তিকে মারধরের অনভিযোগ উঠেছে। গত ৫ মে সোমবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে উপজেলার পূর্ব রাজদিয়া গ্রামস্থ আবুল কাশেম চৌধুরীর দোকানে মারধরের এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায়
মারধরের শিকার আবুল কাশেম চৌধুরী বাদী হয়ে অভিযুক্ত পূর্ব রাজদিয়া গ্রামের মৃত আঃ কাদিরের ছেলের মোঃ মিঠুন (৫০) ও একই গ্রামের মৃত মন্তাজ উদ্দিনের ছেলে সানোয়ার হোসেন সানু মিয়া (৭০) দের বিবাদী করে সিরাজদিখান থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। স্থানীয় ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ইছাপুরা ইউনিয়নের রাজদিয়া জামে মসজিদের কমিটি নিয়ে বেশ কয়েক মাস ধরে স্থানীয় দুটি পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিলো। চলমান দ্বন্দ্বের জেরে গত ৫ মে সোমবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে মসজিদের জমি দাতা ও মসজিদের মোতায়ালীর দায়িত্বে থাকা আবুল কাশেম চৌধুরীর মসজিদ সংলগ্ন দোকানে ঢুকে প্রতিপক্ষ মোঃ মিঠুন ও সানোয়ার হোসেন সানু মিয়াসহ আরো বেশ কয়েকজন তার উপর হামলা চালায়। এসময় তারা আবুল কাশেম চৌধুরীকে মসজিদ নিয়ে কথা বললে তাকে প্রাণে মেরে ফেলাসহ মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করবে মর্মে হুমকি প্রদান করে। মারধরের শিকার ভুক্তভোগী আবুল কাশেম চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন, এ মসজিদের জায়গা আমার বাবা দিয়ে গেছেন এবং আমি মসজিদের মসজিদের মোতায়ালীর দায়ীত্বে আছি। তারা মুসাকে সভাপতি করে জোরপূর্বক একটি কমিটি করার চেষ্টা করে। মসজিদের উন্নয়নের স্বার্থে এলাকার সকলকে নিয়ে এলাকাবাসী যাকে বেশী সমর্থন করে তাকে সভাপতি করে কমিটি করার জন্য বলি। এলাকাবাসী শিংহভাগ মানুষ আগের কমিটির পক্ষে। কিন্তু তারা মুসাকে সভাপতি করে মসজিদের নতুন কমিটি করার জন্য উঠে পরে লাগে। যেহেতু আমি মসজিদের জমি দাতা ও মোতায়ালীর দায়ীত্বে আছি সেহেতু আমি মসজিদের আগের কমিটির বহাল রাখার জন্য এলাকাবাসীর পক্ষে আছি। আমি যাতে মসজিদের কমিটি নিয়ে কোন কথা না বলি সে জন্য তারা সোমবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে সানোয়ার হোসেন সানু মিয়া ও মিঠুন মেম্বার আমার দোকানে এসে আমার উপর হামলা চালায় ও আমাকে হুমকি দিয়ে গেছে। আমি থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি। আমি আপনাদের মাধ্যমে এর সুষ্ঠ সমাধান চাই। তবে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মোঃ মিঠুন বললেন ভিন্ন কথা, তিনি মুঠোফোনে বলেন, এ মসজিদের জন্য আমরা ৪০ লাখ টাকা খরচ করেছি। কিন্তু সে এ মসজিদ তার পারিবারিক মসজিদ বলে দাবী করায় আমি তাকে জিজ্ঞেস করতে সেখানে গিয়েছিলাম। আর আমি ১৫ বছর আগে ৪০ লাখ টাকা খরচ করে মসজিদ তৈরি করলাম তখন তিনি কেন বললেন না যে এ জায়গা তাদের? আমি তাকে কোন মারধর করি নাই।
লিখিত অভিযোগ দায়েরের বিষয়টি সিরাজদিখান থানা পুলিশের সংশ্লিষ্ট সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।