নির্বাচনে বিঘ্ন সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিবে কমিশন!! মনিরুজ্জামান

সিরাজদিখান প্রতিনিধি 

নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের যুগ্ম সচিব (প্রশাসন ও অর্থ) ও মুন্সীগঞ্জের সাবেক জেলা প্রশাসক মোঃ মনিরুজ্জামান তালুকদার বলেছেন, “নির্বাচনে যারা বিঘ্ন সৃষ্টি করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিবে নির্বাচন কমিশন। এক্ষেত্রে কোন প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না।

 

নির্বাচনী অপরাধ হচ্ছে,

যদি কেউ জোর করে কাউকে দিয়ে ভোট দিতে বাধ্য করে, যদি কোন ব্যক্তি তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে, কোন সরকারি কর্মকর্তা নির্বাচনী দায়িত্ব থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার করেন, অথবা গোপনীয়তা না রক্ষা করে, এরকম বিধি ৬৯ থেকে ৮০ অপরাধের কথা বলা হয়েছে।

 

প্রত্যেকটা অপরাধ শুধু চাকরী চলে যাওয়া না বরং এই অপরাধগুলো হলো ফৌজধারী অপরাধ। এই অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত হতে পারে কোন ব্যক্তি, কোন প্রার্থী, কোন পোলিং অফিসার বা দায়িত্বশীল যে কোন ব্যক্তি।

 

আপনি যখন কোন ফৌজধারী অপরাধ করবেন তখন কিন্তু আপনার পিছনের দিকে কেউ তাকাবে না। অতএব অপরাধ করার আগে সতর্ক হন।

 

গতকাল শনিবার (২৫মে) ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষে প্রিজাইডিং ও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারগণের সাথে আয়োজিত মতবিনিময় সভায়

 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জেলা প্রশাসক মোঃ আবুজাফর রিপন বিপিএএ এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসলাম পিপিএম, ঢাকা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ ফরিদুল ইসলাম, জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ বশির আহমেদ, সিরাজদিখান ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটানিং কর্মকর্তা ফরিদ আহমেদ। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাব্বির আহমেদ, সিরাজদিখান থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোজাহিদুল ইসলাম।

 

মতবিনিময় সভায় সঞ্চালনা করেন সিরাজদিখান উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) উম্মে হাবিবা ফারজানা।

সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোঃ আবুজাফর রিপন বিপিএএ উপস্থিত প্রিজাইডিং ও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারদের উদ্দেশ্যে করে বলেন, “আমি বিশ্বাস করি আপনারা এখানে যারা আছেন অধিকাংশ লোক সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করবেন। আমরা ইতোমধ্যে যেটা দেখে এসেছি। দু’একজন যারা মনে মনে ইতোমধ্যে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে আছেন যে একটা কিছু করবো। আপনি নিশ্চিত থাকেন আপনি যা করবেন তার থেকে দ্বিগুণ পরিমাণ আপনাকে ফিরিয়ে দেওয়া হবে। আপনাকে সেই পরিমাণে ক্ষতি করা হবে। সুতরাং আমরা মনে করি আপনাদের মনে যদি এমন চিন্তা ভাবনা থাকে, তাহলে ভুলে যান। আমার আপনার চেয়ে রাষ্ট্র অনেক বেশি শক্তিশালী। বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী, নির্বাচন কমিশনার যেভাবে চায় ঠিক সেভাবেই আপনাকে আমাকে নির্বাচন করে দিতে হবে।” উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলার মোট ২০ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন প্রার্থী অংশ নিচ্ছেন। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৯৬টি ভোট কেন্দ্র রয়েছে। আগামী ২৯ মে এ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *